সিজন ০২
এপিসোড ০৫
এপিসোডটি দেখতে নীচে যান
কুরুলুস উসমান নামক এই ঐতিহাসিক ফিকশন টিভি সিরিয়ালটি অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর (প্রথম উসমান) জীবনকাহিনীর উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি উসমান গাজীর পিতা, আরতুগ্রুল গাজীর জীবনীর উপর মেহমেদ বোজদাগ নির্মিত মেতিন গুনেয় পরিচালিত বহুল আলোচিত, জনপ্রিয় ঐতিহাসিক ফিকশন টিভি সিরিজ দিরিলিস আরতুগ্রুল এর সিকুয়েল।
উসমান বে’র ভালোবাসা, সংগ্রাম, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গল্প, শত্রু ও বিশ্বাসঘাতক মোকাবিলা এই সিরিজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বুরাক অজচিভিট উসমান বে’র চরিত্রে, ওজগে তোরার উসমান বে’র স্ত্রী বালা হাতুনের চরিত্র অভিনয় করেন। এছাড়াও তামের ইগিত কায়ী বে, আরতুগ্রুল গাজীর চরিত্রে জীবন দান করেন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতি বৃহস্পতিবার কুরুলুস উসমানের নতুন পর্ব বাংলা সাবটাইটেল সহ দেখতে পাবেন।
উসমান গাজী বা প্রথম উসমান – আনাতলিয়ার বাইজেন্টাইন সীমান্তবর্তী এলাকার তুর্কমেন যাযাবর কায়ী গোত্রের প্রধান আরতুগ্রুল গাজীর ছেলে। কোচদাগ যুদ্ধে মোঙ্গলদের কাছে সেলজুক সাম্রাজ্য পরাজিত হলে, আনাতলিয়ার তুর্কমেনদের শক্তিশালী এই সাম্রাজ্য মোঙ্গলদের করদরাজ্যে পরিণত হয়।আরতুগ্রুল গাজী ছিলেন এই সাম্রাজ্যের অনুগত একজন তুর্কমেন বে। মোঙ্গলদের এই অভ্যুত্থানে তিনিও অন্যান্য তুর্কমেন বে’দের মতো নিজের বেইলিকের স্বাধীনতার বিনিময়ে কর পরিশোধ করতেন। উসমান সফলতা
পেতে থাকেন পক্ষান্তরে মোঙ্গলদের শাসনাধীনে থাকা সেলজুকরা শক্তি হারাতে থাকে। এতে করে সেলজুকদের উপরও মানুষের আস্থা কমতে থাকে। নেতৃত্বের গুণাবলি, যোগ্যতা সবই উসমানের মাঝে ছিলো। তাই কায়ী বসতির আশপাশের বসতিগুলো দ্রুত প্রভাবিত হয়ে উসমানের নেতৃত্ব মেনে নেয়। সর্বত্র উসমানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। সেলজুকদের উপর মোঙ্গলদের প্রভাবে ইতিমধ্যে বিরক্ত জনগণ ধীরে ধীরে উসমানের পতাকাতলে একতাবদ্ধ হতে সীমান্তবর্তী এলাকার দিকে ছুটে যায়।
সার্ভার ০১
[ভিডিও দেখতে সমস্যা হলে বা ডাউনলোড করতে নীচে সার্ভার ০৩-এ যান]
সার্ভার ০২
আরতুগ্রুল গাজীর মৃত্যুর পর পুত্র উসমান বে আসনে সমাসীন হন। উসমান বে ছিলেন দক্ষ, চতুর দয়ালু ব্যক্তি। তাই বে’রা নির্দ্বিধায় তাকে আরতুগ্রুল গাজীর স্থলাভিষিক্ত করেন। তবে উসমান বিশ্বাসঘাতকতার জন্য তার চাচা দুন্দার বে’কেও দয়া দেখাননি। সীমান্তবর্তী এলাকায় তিনি সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত খৃষ্টান ভূমিশাসকদের (তেকফুর) বিরুদ্ধে লড়াই করে।
নিজের ভূমি বিস্তার শুরু করেন। উসমান এবং তার আল্পরা (সৈন্য) ছোট ছোট ভূমি জয় করতেন। উসমানের শায়েখ এদেব আলী আহি সংঘ নিয়ে সেখানে বাণিজ্যিক ঘাঁটি স্থাপন করতেন, খৃষ্টান অধ্যুসিত অঞ্চলের মানুষদের ইসলামের দাওয়াত দিতেন।
উসমানের দলবল ভারী হতে থাকে, শক্তিও বাড়তে থাকে। একদিন তিনি স্বপ্নে দেখেন শায়েখ এদেব আলীর বুক থেকে একটা চাঁদ উদিত হয়ে তার বুকে এসে আশ্রয় নেয়
এবং বুক থেকে একটা বটবৃক্ষ বেরিয়ে আসে। এর শাখাপ্রশাখা গোটা বিশ্বকে আচ্ছাদিত করে। তিনি আরো দেখেন, কতগুলো তরবারি কনস্টান্টিনোপলের দিকে উড়ে যাচ্ছে।